Monday, February 11, 2013

চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আয়োজনে গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণ করেন শাহরাস্তি উপজেলাধীন ওয়ারুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বনাম ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উদ্বোধনী খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহা। খেলা উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী পিপিএম। টুর্নামেন্টে ৮ উপজেলার মোট ১৬টি দল অংশগ্রহন করে। ফাইনাল খেলায় ১-১ গোলে সমতা থাকায় খেলা ট্রাইবেকারে গড়ায়। ট্রাইবেকারে শাহরাস্তি উপজেলা ৩-১ গোলে ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়। খেলার শেষে বিজয়ী চ্যাম্পিয়ান ও রানাস্ আপ দলের গোল্ডকাপ ট্রপি বিতরণ করেন ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহাসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় সাজানো মামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। এতে নিরীহ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শুধু সাধারণ মানুষ নন, এ হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশু ও নারী নির্যাতন, ধর্ষণ চেষ্টা, হত্যা হুমকি, জমিজমা ও যৌতুক সংক্রান্ত সাজানো মামলা দিয়ে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এসব সাজানো মামলায় নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হলেও লাভবান হচ্ছে একশ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তা ও নামধারী রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা এবং থানার কিছু চিহ্নিত দালাল। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও দীর্ঘদিনের মনোবাসনা পূরণ করতে উপজেলার যে কোনো প্রান্তে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা সাজানো হচ্ছে। পরে থানা বা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা বলে উভয় পক্ষ থেকে অর্থ হাতিয়া নেয়। এসব দালাল চক্র এতই শক্তিশালী যে অনেক সময় মামলা নিতে পুলিশকে বাধ্য করে। আবার একশ্রেণীর অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষ খেয়ে মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ উপজেলার বুরপৃষ্ট গ্রামের ওমর ফারুকের স্ত্রী রাগ করে তার বাপের বাড়ি শ্রীপুর চলে যায়। এটাকে পুঁজি করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ফারুকের স্ত্রী ফাতেমাকে দিয়ে কোর্টে যৌতুকের মামলা করায়। অসহায় ফারুক ও তার বাবা আবদুল বারেক সে মামলায় প্রায় এক মাস জেল খেটে বেরিয়ে আসে। ওই মহলটি উভয় পক্ষ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। শাহরাস্তি উপজেলার বৃহত্তম ইউনিয়ন টামটাকে উত্তর-দক্ষিণ নামে দুটি ইউনিয়ন ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক প্রিয়তোষ সাহা। নতুন নামে অন্তর্ভুক্ত হওয়া টামটা উত্তর-দক্ষিণ ইউনিয়নের সাথে একীভূত হয়েছে মেহের (উত্তর) ইউনিয়নের দেশগাঁও গ্রাম এবং মেহের (দক্ষিণ) ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর, ভাটনীখোলা ও ভিংরা গ্রামসমূহ। ইতিমধ্যে মেহের (উত্তর) ও মেহের (দক্ষিণ) ইউনিয়ন দুটি (উল্লেখিত ৪টি গ্রাম ছাড়া) শাহরাস্তি পৌরসভায় একীভূত হয়েছে এবং সাবেক এ দুটি ইউনিয়নবাসী পৌরসভার বাসিন্দা ও ভোটার। চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা কর্তৃক গত ১২ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি আকারে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টামটা (উত্তর ও দক্ষিণ) ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন, জেলা নির্বাচন অফিস সকল কাজ সম্পন্ন করেছে। এমনকি নতুনভাবে গ্রামগুলোকে সমন্বয় করে ৯টি করে ওয়ার্ড ও ভোটার তালিকাও প্রস্তুত করে রেখেছেন। টামটা উত্তর ইউনিয়নের গুইলপুরা ও মুড়াগাঁও গ্রাম নিয়ে ১নং ওয়ার্ড এবং ভোটার সংখ্যা ৪৬১ জন, ইছাপুরা (উত্তর), ইছাপুরা, রাজাপুরা, বোস্তা ও সিমলা গ্রাম নিয়ে ২নং ওয়ার্ড এবং ভোটার সংখ্যা ১০৫৩ জন, বলশীদ (উত্তর), তারালিয়া ও যুগীনগর গ্রাম নিয়ে ৩নং ওয়ার্ড এবং ভোটার সংখ্যা ৮৮৮ জন, পরাণপুর ও দৈলবাড়ি গ্রাম নিয়ে ৪নং ওয়ার্ড এবং ভোটার সংখ্যা ৫৯৭ জন,

No comments:

Post a Comment